কক্সবাজার প্রতিনিধি
অর্থঋণের মামলায় সালাহউদ্দিন আহমদ এবং জনতা ব্যাংকের দায়ের করা পৃথক দুটি আপিল শুনানী আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে পাঠিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে শুনানী শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়। ফলে অনিশ্চিয়তার মুখে পড়েছে সালাহউদ্দিন আহমদের প্রার্থিতা।
তবে সালাহউদ্দিনের দাবি, আপিল বিভাগের এ আদেশের সঙ্গে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কোনো সম্পর্ক নেই। এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইকালে কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহিন ইমরান।
তথ্য মতে, জনতা ব্যাংক চট্টগ্রাম লালদীঘি শাখা থেকে ‘ফিস প্রিজারভারস’ নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহউদ্দিন আহমদসহ অন্য পরিচালকগণ প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ঋণ নেন। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সালাহউদ্দিন আহমদ এখনো সেই ঋণের একজন জামিনদার। ঋণখেলাপির অভিযোগে সালাহউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করেন জনতা ব্যাংক। যদিও মামলার শুনানী শেষে সালাহউদ্দিনকে ঋণখেলাপি থেকে রেহাই দিয়ে আদেশ দেন আদালত। কিন্তু আদেশের কপি বাংলাদেশ ব্যাংকে সরবরাহ না করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো’র (সিআইবি) ঋণখেলাপির তালিকায় তার নাম রয়ে যায়। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাইবাছাইকালে সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহিন ইমরান। রিটার্নিং কর্মকর্তার এ আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনারের নিকট আপিল করেন সালাহউদ্দিন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো’র (সিআইবি) তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। শুনানী শেষে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে সালাহউদ্দিন আহমদের নাম বাদ দিতে বাংলাদেশকে নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে জনতা ব্যাংক। পিটিশনং নং- সিভিল ৩৭৪১/২০২৩।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর এক শতাংশ জমির মূল্য ৩৮ টাকা
অপরদিকে ব্যাংকের আবেদন বাতিল ও পূর্বের আদেশ বহাল রাখতে সালাহউদ্দিন আহমেদও একটি আপিল দায়ের করেন। যার নং সিভিল পিটিশন ৩৭৬৫/২০২৩। আজ মঙ্গলবার দুটি আপিলের শুনানী শেষে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চকে নির্দেশনা দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ।
জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পৃথক দুটি আপিল আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন করতে পারব কি পারবো না সেটি ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের আদেশের ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু তার আগেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের লোকজন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
সুত্র:কালবেলা
পাঠকের মতামত